,

সাধুর বাজারে ভূয়া ডাক্তার নান্টুর ফার্মেসীতে ড্রাগ সুপারের অভিযান :: পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেলেও সাইনবোর্ড জব্দ

জুয়েল চৌধুরী : সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের সাধুরবাজারে ভূয়া ডাক্তার নান্টু চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর ড্রাগ সুপারের অভিযানে কতিথ চিকিৎসক পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। এ সময় তার ডাক্তার পদবী ব্যবহৃত সাইনবোর্ড জব্দ করা হয়।
গতকাল শুক্রবার এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে সিভিল সার্জন নুরুল হক ভুইয়ার নির্দেশে ড্রাগ সুপার জিয়া উদ্দিনসহ একদল পুলিশ ওই ফার্মেসীতে অভিযান চালায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কতিথ ডাক্তার পালিয়ে যায়। পরে তার ব্যবহৃত সাইনবোর্ড খুলে জব্দ করা হয়।
প্রসঙ্গত, নান্টু চন্দ্র পালের খপ্পড়ে পড়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। পাশাপাশি ওই কথিত ডাক্তার শূন্য থেকে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সাধুর বাজারে পাল ফার্মেসীর মালিক নান্টু চন্দ্র পাল, ডাক্তার পদবী ব্যবহার বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। তার কাছে সাধুরবাজার, তেলিখাল, কাটাখালি, সুকচর, উচাইল, শংকরপাশাসহ বিভিন্ন গ্রামের সহজ সরল মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে প্রতারিত হচ্ছেন। অনেকে আবার তার কাছে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আরও জটিল ও দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
ডাক্তার না হয়েও নামের আগে ডাক্তার লিখে দিব্যি তিনি প্রতারণা করে যাচ্ছেন। খবর নিয়ে জানা গেছে, তিনি পল্লী চিকিৎসক। ৬ মাস মেয়াদী কোর্স করেছেন। এরপরও বাজারে ডাক্তার পদবীর সাইনবোর্ড ব্যবহার রোগীদের আকৃষ্ট করছেন। তার নিয়োজিত দালাল চক্র রয়েছে। যারা গ্রামগঞ্জের সহজ সরল মানুষদের কম টাকায় চিকিৎসা করানোর কথা বলে কমিশনের মাধ্যমে তার কাছে নিয়ে আসে। সুযোগ বুঝে অনেকের কাছ থেকে তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। অনেক রোগী অভিযোগ করেন, জনপ্রতি তিনি ২শ টাকা করে ভিজিট নিয়ে থাকেন। চিকিৎসার সময় সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা, বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। অভিযোগ রয়েছে, প্রয়োজন না হলেও তিনি রোগীদের বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিচ্ছেন। ওষুধগুলো আবার তার ফার্মেসী থেকেই কিনতে হচ্ছে। আর এসব ওষুধ সেবন করে অনেকেই আরোগ্যের বদলে আক্রান্ত হচ্ছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর